বন্দরের কম্পিউটার অপারেটর ৪৬০ কোটি টাকার মালিক
২০০১ সালে টেকনাফ বন্দরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি করতেন তিনি। তখন তাঁর বেতন ছিল মাত্র ১২০ টাকা। নয় বছর পর চাকরি ছেড়ে দেন। মাঝের এই কয়েক বছরের তাঁর সম্পদের পরিমান গিয়ে দাঁড়ায় ৪০৬ কোটি টাকা।
র্যাবের দাবি, বন্দরে অবৈধভাবে পণ্য খালাস করে এত টাকা কামিয়েছেন তিনি। গত সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নুরুল ইসলাম নামের এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নুরুল টেকনাফ বন্দর কেন্দ্রিক দালালি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। তার সিন্ডিকেটের ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। যারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দালালি কার্যক্রমগুলো করে থাকে। এই সিন্ডিকেটটি পণ্য খালাস, পরিবহন সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পথিমধ্যে অবৈধ মালামাল খালাসে সক্রিয় ছিল।
সিন্ডিকেটের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী দেশ হতে কাঠ, শুঁটকি মাছ, বরই আচার, মাছ ইত্যাদির আড়ালে অবৈধ পণ্য নিয়ে আসা হত। চক্রটির সদস্যরা টেকনাফ বন্দর, ট্রাক স্ট্যান্ড, বন্দর লেবার ও জাহাজের আগমন-বর্হিগমন নিয়ন্ত্রণ করত।
খন্দকার আল মঈন বলেন, নুরুলের সঙ্গে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের যোগসাজশ ছিল বলে সে জানায়। অবৈধ আয়ের উৎসকে ধামাচাপা দিতে সে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। এর মধ্যে এমএস আল নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এমএস মিফতাউল এন্টারপ্রাইজ, এমএস আলকা এন্টারপ্রাইজ, আলকা রিয়েল স্টেট লিমিটেড এবং এমএস কানিজ এন্টারপ্রাইজ অন্যতম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ এই টাকা দিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা শহরে তিনি ৬টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট কিনেছেন। এছাড়াও সাভার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে/বেনামে সর্বমোট ৩৭টি জায়গা/প্লট/বাগানবাড়ি/বাড়ি রয়েছে। তার নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বর্তমানে সে জাহাজ শিল্প ও ঢাকার সন্নিকটে বিনোদন পার্কে বিনিয়োগ করছে বলে জানা যায়।