ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সে চলছে যাত্রী পরিবহন, দুর্ঘটনা বাড়ছে !
আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা |মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন উত্তরবঙ্গে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহাণির ঘটনা ঘটছে বেশি। আজ ভোর ৪টায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে বগুড়াগামী ট্রাকের চালক নিহত হয় এবং ট্রাকের ভিতর থাকা যাত্রী আহত হয়।
গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার, যা আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এতে সারাদেশের মতো বিপাকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ জনগণ। জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে গাড়ি পাচ্ছেন না তারা।বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষ ঢাকা থেকে আসতে পারছেন না।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া ট্রাক যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের চালক।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধুনটমোড় এলাকায় গিয়ে যাত্রী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে যাত্রী দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স চালকরা |
যাত্রীরা জানান, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা সিরাজগঞ্জ রোড থেকে ট্রাক ভাড়া বগুড়া ১শ ৫০ থেকে ৩শ এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ৩শ থেকে ৪শ টাকা।
ট্রাকের যাত্রী ওবাইদুল হক বলেন, গাবতলী থেকে বগুড়ায় যাব। এতে ৬শ টাকা ভাড়া দিয়েছি। অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী বলেন, আমরা চন্দ্রা থেকে ৪ জন উঠেছি ৮শ টাকা করে ভাড়া নিয়েছে।
যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, রাস্তায় গাড়ি নেই তাই কিছু যাত্রী নিচ্ছি। আমরা তো কাউকে জোর করে গাড়িতে তুলছি না। যাত্রীরা খুশি হয়েছে টাকা দিচ্ছে।